স্বদেশ ডেস্ক:
চীনের ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি বিমান ১৩২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর কয়েকশ’ উদ্ধারকর্মী অভিযানে নামেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিমানটির ১৩২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই। খবর বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্সের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেট ইঞ্জিনচালিত বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ১১ মিনিটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুনমিং থেকে যাত্রী নিয়ে গুয়াংজুর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
ফ্লাইট রাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্যে দেখা গেছে, ২টা ২২ মিনিটে ৩২২৫ ফুট উচ্চতায় ৩৭৬ নট গতিতে চলমান থাকা অবস্থায় বিমানটির ফ্লাইট ট্র্যাকিং শেষ হয়ে যায়। এটি ছয় বছরের পুরোনো ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকর্মীরা জানান, প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জঙ্গলে আগুন ধরে যায়। পড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড়জুড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি চায়না ইস্টার্ন। কোনো প্রশ্নে তারা সাড়াও দেয়নি।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, চীনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবো তাদের পাতার লোগো ধূসর করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওয়েবসাইটের রং সাদাকালো করে দিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে, তারা শোক পালন করছে। এদিকে ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটির কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আগুন ধরে আশপাশের বাঁশঝাড় ও গাছ পুড়ে যায়, পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ফ্লাইট রাডার টোয়েন্টিফোরের তথ্যে দেখা গেছে, ০৬২০ জিএমটিতে প্লেনটি ২৯১০০ ফুট উচ্চতায় ছিল, এর মাত্র দুই মিনিট ১৫ সেকেন্ড পর এটি ৯০৭৫ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে, আর এর ২০ সেকেন্ড পর এর শেষ অবস্থান ছিল ৩২২৫ ফুট উচ্চতায়। এরপর থেকে আর কোনো ট্র্যাকিং রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
চীনের এয়ারলাইন্স শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে খুব উন্নতমানের হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক দশক ধরে এ ক্ষেত্রে দেশটিকে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের মতে, চীনে সর্বশেষ বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ২০১০ সালে। ইচুন বিমানবন্দরের কাছে ওই দুর্ঘটনায় ৯৬ আরোহীর মধ্যে ৪৪ জন নিহত হন।